পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের বসতবাড়ির একটি বাগান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তন্নি আক্তার (২৪) নামের এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তন্নি আক্তার গত বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
তন্নি আক্তার উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক আকনের মেয়ে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও তন্নির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তন্নি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়ি উত্তর বড়মাছুয়ায় বসবাস করছেন। তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম মোংলায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তৌহিদুলের বাড়ি বরিশালের বানাড়িপাড়া উপজেলায়। গত বুধবার বিকেলে আসরের নামাজের পর তন্নি ঘর থেকে বের হন। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। গতকাল বিকেলে এক নারী স্থানীয় মান্নান আকনের বাগানবাড়ির একটি শুকানো নালার মধ্যে তন্নির লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশটি উদ্ধার করে। আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রাজ্জাক আকন বলেন, ‘আমার মেয়ে সহজ–সরল হওয়ায় পাঁচ বছর আগে তাঁকে বিয়ে দিয়ে আমার বাড়িতে রেখে দিই। গত বুধবার বিকেল থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গতকাল বিকেলে এক নারী আমার বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে মান্নান আকনের বসতবাড়ির বাগানের মধ্যে তন্নির গলাকাটা লাশ দেখতে পান। আমার মেয়েকে গলা কেটে হত্যার কারণ আমি বুঝতে পারছি না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তন্নিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করছে পুলিশ।