বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধ কিশোরীকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ সাইফুল ইসলামকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করলে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
স্বজনদের বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গতকাল ওই কিশোরীর মা–বাবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় সে বাড়িতে একা ছিল। দুপুরে ওই তরুণ বাড়িতে ঢুকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত তরুণ ঘরে থাকা পাট ও কাপড় ভুক্তভোগীর শরীরে পেঁচিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, আগুনের তাপে কিশোরী জ্ঞান ফিরে পেয়ে চিৎকার করে প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে গিয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা ওই কিশোরীকে প্রথমে বগুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে কিশোরীর কথা শুনে গ্রামের লোকজন অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে হেফাজতে নেয়।