কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে সড়ক তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে তিন দিনে আড়াই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। গত সোমবার সকালে সাজেকে ঘুরতে এসে তাঁরা আটকা পড়েন বলে জানিয়েছে সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি।
আজ বুধবার বিকেলে সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, সাজেকের সড়কটি পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনা করে যত দিন পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক না হবে, তত দিন আটকা পড়া পর্যটকদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হবে না।
রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আড়াই শতাধিক পর্যটক সাজেকের রুইলুই ভ্যালিতে বেড়াতে আসেন। টানা বৃষ্টির কারণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী সড়ক তলিয়ে যায়। এতে দীঘিনালা-সাজেক-বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজার এলাকার দুটি স্থান পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়। এতে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে রুইলুই ভ্যালির পর্যটকবাহী অন্তত ২৫টি গাড়ি আটকা পড়েছে। এসব গাড়িতে করে আড়াই শতাধিক পর্যটক বেড়াতে আসেন। বৃষ্টি কমলে ও পাহাড়ি ঢলের পানি কমে যাওয়ার পর আটকা পড়া গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিকে আজ দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি কমে যাওয়ায় কবাখালী সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে দুটি স্থানে এখনো চার থেকে ছয় ফুট পানি আছে।
সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কে বাঘাইহাট বাজার এলাকা ও মাচালং বাজার এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ভেলা ও নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন। স্থানীয় যানবাহনের পাশাপাশি সাজেকের পর্যটকবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। বৃষ্টি না হলে আগামীকাল পানি সরে যেতে পারে। তখন যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।