মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ফিরে আসা জেলেরা। গতকাল সন্ধ্যায় নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে
মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ফিরে আসা জেলেরা। গতকাল সন্ধ্যায় নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে

মিয়ানমারের আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি জেলে

মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে কক্সবাজারের ফিশারিঘাট এলাকার ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফিরিয়ে এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতদের হামলা ও লুটপাটের শিকার হয়েছিলেন একটি ট্রলারে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারিঘাট থেকে রওনা হওয়া ১৬ জেলে। পরে জেলেদের মারধরের পর ডেকের ভেতর বন্দী করে ডাকাতেরা ট্রলারটি ছেড়ে দিলে সেটি মিয়ানমারের একটি চরে গিয়ে আটকায়। এরপর ভুক্তভোগী জেলেদের হেফাজতে নেয় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ছয় দিন তাদের হেফাজতে থাকার পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ১৬ জেলেকে ফিরিয়ে আনে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

ফিরে আসা জেলেরা হলেন কক্সবাজারের রামুর মো. ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের আবদুল হাফেজ (২৮), আজিজুর রহমান (৪৫), আবু হেনা (৪০), আলী (৪০), আরাফাত (৩০), মো. হেলাল (২৮), আমান উল্লাহ (৫০), নবী হোসেন (২৮), মো. সলিমুল্লাহ (৪৫), মো. ইউনুস (৫২), মো. সাগর (২২), মো. সেলিম (২৮), দিল মোহাম্মদ (২৭), রহিম উল্লাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)।

সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারিঘাট থেকে ১৬ জেলে একটি ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনটি ট্রলারে ডাকাত দল ওই জেলেদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে মারধরের পর ট্রলারটির ডেকের ভেতরে বন্দী করে রাখে। পরে ৭ অক্টোবর ভোররাতে ডাকাতেরা জেলেদের বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশের একটি চরে ছেড়ে দেয়।

বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি প্রতিনিধিদল আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে গতকাল সন্ধ্যায় টেকনাফের নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট দিয়ে ১৬ জেলেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

আজ দুপুরে ফিরে আসা জেলেদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।