পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দুটি গ্রাম থেকে ২৪৭ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল শুক্রবার প্রথমে উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রাম থেকে ৪৮ কেজি, পরে গয়েসকাঠি গ্রাম থেকে ১৯৯ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গয়েসকাঠি গ্রাম থেকে হারুন মোল্লা (৫৫) ও আবুল কালাম (৫০) নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন মোল্লা বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা। আর আবুল কালামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল উপজেলার পূর্ব সোহাগদল গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪৮ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে।
এরপর রাত ১২টার দিকে উপজেলার গয়েসকাঠি গ্রামের পূর্ব গয়েসকাঠি গ্রামের খালে একটি ট্রলার দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় লোকজন ওই ট্রলারে থাকা দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লোকজন তাঁদের আটক করে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ১৯৯ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেছে।
গ্রেপ্তার হারুন মোল্লা বলেন, ‘আমি ট্রলারের একজন কর্মচারী। বরগুনার আবদুর মান্নান নামের এক ব্যক্তি তাঁর ট্রলারে সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকার করে মাংস নৌপথে নেছারাবাদ উপজেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে গিয়েছে।’
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন বলেন, হরিণের মাংস উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।