খুঁটিতে দুই হাত বেঁধে শাহাদাত হোসন নামের এক যুবককে গান গেয়ে গেয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়
খুঁটিতে দুই হাত বেঁধে শাহাদাত হোসন নামের এক যুবককে গান গেয়ে গেয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়

গান গেয়ে পিটিয়ে যুবককে খুন

আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করল র‍্যাব

চট্টগ্রামে গান গেয়ে গেয়ে পিটিয়ে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে খুনের মামলায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান ও মো. শান্ত। গত রোববার রাতে নগরের খুলশী ডেবারপাড় এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) শরীফ উল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন নিহত শাহাদাত হোসেনকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যান মেহেদী। গ্রেপ্তার দুজনকে পাঁচলাইশ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তিনজন হলেন ফরহাদ আহমেদ চৌধুরী (৪২), আনিসুর রহমান (১৯) ও ১৬ বছরের এক কিশোর। পরে পুলিশ জানায়, গান গেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা শাহাদাতকে ছিনতাইকারী বলে সন্দেহ করেছিলেন নির্যাতনকারী যুবকেরা। হত্যার সময় উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় হামলাকারী যুবকদের। শাহাদাতকে পেটানোর সময় হামলাকারীদের একজন আশপাশের পথচারীদের ডেকে বলছিল, ‘ভাইয়া, সবাই একটা সেলফি তুলে চলে যান।’

গত ১৩ আগস্ট নগরের পাঁচলাইশ ২ নম্বর গেট এলাকায় ছিনতাইকারী সন্দেহে শাহাদাত হোসেনকে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পেটানোর সময় উল্লাস করতে থাকা গ্রেপ্তার কিশোর আশপাশে থাকা লোকজনকে সেলফি তুলতে বলে। পরে তাঁর লাশ নগরের প্রবর্তক মোড় এলাকায় ফেলে আসা হয় ঘটনা ধামাচাপা দিতে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ‘ছিনতাইকারী’, ‘ধর ধর’, বলে চিৎকার করে ধাওয়া দিয়ে শাহাদাতকে ধরা হয়। শাহাদাতের সঙ্গে মেহেদী নামের তাঁর এক বন্ধুও ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেহেদী পালিয়ে গেলও ধরা পড়ে যান শাহাদাত। তবে সেদিন অনেক লোকের ভিড়ে কাদের কাছ থেকে তাঁরা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তা জানতে পারেনি পুলিশ। শাহাদাতের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের নয়টি মামলা রয়েছে। মেহেদীও পুলিশের তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী।