স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি। আজ সকালে তোলা
স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি। আজ সকালে তোলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে সাংবাদিকতা বিভাগে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তিন শিক্ষার্থী। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ও অফিস কক্ষে তালা দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিভাগটির বিভিন্ন বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মাস পরও তাঁদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। বারবার প্রকাশের দাবি জানালেও বিভাগ কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছেন। স্নাতকোত্তরের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে চাকরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও আবেদন করতে পারছেন না। এতে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে আয়েশা মালিহা (মাহফুজ) বলেন, ‘আমাদের গত বছরের নভেম্বর মাসে মাস্টার্স পরীক্ষা শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়েছিল। ১০ মাস যাবৎ আমাদের ফলাফল আটকে আছে। আমাদের ব্যাচের অনেক চাকরিপ্রত্যাশী ফলাফলের জন্য কোথাও আবেদন করতে পারছেন না। যাঁরা পরিবারের একমাত্র ভরসা, তাঁরা হতাশায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে বারবার দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

আবদুল্লাহ আল মামুন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের এক শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর কাছে সব ধরনের নথি আছে। কিন্তু ওই শিক্ষক বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন না। ফলাফল আটকে থাকার পেছনে বিভাগ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এখানে ব্যক্তিশিক্ষক বড় হয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তও এগোচ্ছে না। এ জন্য ফলাফলের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। কোনো উপায় না পেয়ে আজ আমরা বিভাগে তালা দিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একজন শিক্ষককে বারবার নম্বরপত্র দেওয়ার জন্য বলা হলেও তিনি জমা দেননি। এ জন্য ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভাগের অন্য শিক্ষকেরা উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন। উপাচার্য বাইরে আছেন। তিনি এলে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।