শ্রমিকনেতা শহিদুল হত্যা মামলা

মামলার এক আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ, পরে রিমান্ডে

গাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ সোমবার সকালে গাজীপুর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫–এ তিনি আত্মসমর্পণ করেন। ওই আসামির নাম মো. সোহেল ওরফে রিপন।

আত্মসমর্পণের পর সোহেল আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি সূত্র প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

সোহেল শহিদুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি। তাঁর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। থাকতেন টঙ্গীর সাতাইশ এলাকায়।

আদালতের পরিদর্শক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিল্প পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোহেল এখন পুলিশের কাছে রিমান্ডে রয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। গত ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ে কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার।

প্রাথমিক অবস্থায় মামলাটির তদন্ত করছিল টঙ্গী পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে ৬ জুলাই মামলাটির তদন্তভার পেয়ে নতুন করে মাঠে নামে গাজীপুর জেলা শিল্প পুলিশ। শিল্প পুলিশ জানায়, এ হত্যা মামলায় ইতিমধ্যে ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

সোহেল মামলার এজারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল পুলিশ। এর মধ্যে আজ সকালে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন সোহেল।

শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলা তদারক কমিটির সভাপতি মো.ইমরান আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো হত্যাকাণ্ডের পেছনে সোহেলের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। বলতে গেলে সেই মূল হোতা। আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’