ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর যখন শহীদদের রক্ত শুকায় নাই, মায়ের কান্না বন্ধ হয় নাই। ওই সময় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাসী ও স্বার্থ উদ্ধারে লিপ্ত হয়। আমরা তাদের ধিক্কার জানাই। তাদের আমরা ঘৃণা জানাই।’
আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যখন দেশ প্রশাসনিকভাবে ভেঙে পড়ে, তখন তাঁদের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারায় নেমেছিল। জানমাল ও ইজ্জত রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করেছে। রাস্তায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে।
রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশকে সুন্দর করার জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। এখানে তোরা নেমেছিস লুট এবং সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির জন্য। তোরা ভালো করে জেনে রাখিস, বাংলাদেশের মানুষ দেশকে সুন্দর করার জন্য জীবন দিয়েছে। তোদের মতো সন্ত্রাসীদের বাংলার মসনদে দেখতে চায় না।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখন আর ছোট দল নয়। এখন ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার যোগ্যতা রাখে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ছোট ভাবলে হবে না। যখন ইসলাম বিদ্বেষী কোনো দল মাথা উঁচু করে, তখন তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য ইসলামী আন্দোলন মাঠে থাকে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ন্যায়ের পক্ষে আছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ময়মনসিংহ বেড়িবাঁধ এলাকায় এক হাজারের মতো লোক বসবাস করে। তাদের উৎখাত করার জন্য কিছু লোক ষড়যন্ত্র করছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের প্রতিবাদে সব সময় ছিল, ওদের পাশেও থাকবে।
গণসমাবেশে তারা তিনটি মূলমন্ত্রক ঘোষণা করে। এগুলো হলো ছাত্র–জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যাানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্য।
ইসলামী আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসেন জাফরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের জি এম রুহুল আমীন, জেলা উত্তরের সভাপতি হাদিউল ইসলাম, জেলার দক্ষিণের সভাপতি মামুনুর রশিদ সিদ্দিকী প্রমুখ।