১৮ মণ ওজনের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ব্রাহমা জাতের গরুটির দাম পাঁচ লাখ টাকা চাইছেন মালিক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরের কাজির বাজার পশুর হাটে
১৮ মণ ওজনের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। ব্রাহমা জাতের গরুটির দাম পাঁচ লাখ টাকা চাইছেন মালিক। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরের কাজির বাজার পশুর হাটে

সিলেটে ‘কালা পাহাড়’ আর ‘কালা মানিক’ নজর কাড়ছে ক্রেতাদের

সিলেট নগরের কাজির বাজার পশুর হাটে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে ‘কালা পাহাড়’ নামের একটি মহিষ ও ‘কালা মানিক’ নামের একটি গরু। ‘বিহারি’ জাতের মহিষটির দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। অপর দিকে ব্রাহমা জাতের গরুটির দাম পাঁচ লাখ টাকা চাইছেন মালিক।

আজ বৃহস্পতিবার কাজির বাজার হাটে গিয়ে কথা হয় মহিষের মালিক খুরশেদ আলমের (৪৬) সঙ্গে। তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর থেকে মহিষ নিয়ে এসেছেন। খুরশেদ আলম জানান, ৪ দিন আগে ১৮টি গরু ও দুটি মহিষ নিয়ে আসেন তিনি। এর মধ্যে কালা পাহাড় নামের মহিষটি ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। বিহারি জাতের মহিষটি তিনি স্থানীয়ভাবে কিনে প্রায় দেড় বছর লালন–পালন করেছেন।

ক্রেতারা এখন পর্যন্ত কালা পাহাড়রের দাম ১৪ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন

খুরশেদ আলম বলেন, প্রায় ১৮ মণ ওজনের মহিষটির তিনি নাম রেখেছেন কালা পাহাড়। গুঁড়া, ভুসি, খড় মিলিয়ে প্রতিদিন কালা মানিকের পেছনে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়। ‘কালা পাহাড়ের’ দাম চাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। তবে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে ফেলবেন। ক্রেতারা এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ পর্যন্ত দাম হাঁকিয়েছেন। সঙ্গে থাকা আরেকটি মহিষ প্রায় ১৪ মণ ওজনের। সেটির নাম রাখা হয়নি। ওই মহিষটির দাম তিনি ১৫ লাখ টাকা চাচ্ছিলেন।

সিলেট নগরের তেররতন এলাকা থেকে হাটে এসেছেন লোকমান আহমদ (৩৮)। তিনি বলেন, মহিষটি দেখে প্রথমে মনে করেছিলেন বড় জাতের গরু। কৌতূহলবশত কাছে গিয়ে বিক্রেতা মহিষ বলে জানিয়েছেন। কোরবানিতে গরুর পাশাপাশি মহিষের চাহিদা রয়েছে।

এ দিকে কালা মানিক নামের গরুটি হাটে নিয়ে এসেছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়নের মোড়াকরি গ্রামের সোয়াব মিয়া। প্রায় ১৫ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের গরুটি তিনি প্রায় এক বছর বয়স থেকে লালন–পালন করছেন।

এলাকায় গবাদিপশুর প্রদর্শনীতে কালা মানিক প্রথম হয়েছিল

সোয়াব মিয়া বলেন, তাঁর এলাকায় প্রায় এক মাস আগে গবাদিপশুর প্রদর্শনী হয়েছিল। সেখানে কালা মানিক প্রথম স্থান অধিকার করেছে। প্রায় চার বছর বয়সের কালা মানিকের দাম তিনি পাঁচ লাখ টাকা চাচ্ছিলেন। তবে সাড়ে চার লাখ টাকা পেলে তিনি বিক্রি করতে পারেন।

গতবারও পশুর হাটে কালা মানিককে তুলেছিলেন উল্লেখ করে সোয়াব মিয়া বলেন, সেখানে আড়াই লাখ টাকা দাম হাঁকানো হয়েছিল। তবে তিনি সে সময় বিক্রি করেননি। এবার গরুটির দাম আরও বেশি পাবেন বলে আশা করছেন। গরু বিক্রি করে আরও একটি গরু কিনে তিনি লালন–পালন করতে চান।

কাজির বাজার পশুর হাটের ব্যবস্থাপক শাহাদত হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার হাটে বেচাকেনা কিছুটা কম। তবে হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস হওয়ায় শুক্রবার থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন।