পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়র সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করেন এবং মামলাটির অনুলিপি পটুয়াখালীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠিয়েছেন।
মামলায় হারুন অর রশিদের কাছ থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত নগদ ২৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ১০ হাজার মার্কিন ডলার, ৪৮ দশমিক ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং বেশ কিছু চেক বই–দলিল উদ্ধার ও আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
হারুন অর রশিদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাউজিং এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে হারুন-অর-রশিদ গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২৮তম বিসিএসের কর্মকর্তা।
মামলার আরজিতে বলা হয়, দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ না থাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ৮ আগস্ট বেলা সাড়ে তিনটার দিকে একটি কালো রঙের প্রাইভেট কারে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হারুন অর রশিদ বরিশালের হাতেম আলী চৌরাস্তা পার হচ্ছিলেন। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটক করেন। এ সময় প্রকৌশলীর স্ত্রী সালমা আক্তার, ছেলে আশফাক অর রশিদ ও মেয়ে সানজিদা রশিদ ওই গাড়িতে ছিলেন। শিক্ষার্থীরা গাড়িটিতে তল্লাশি করে নগদ টাকা, ডলার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেন। এসব সম্পদের সঠিক উৎস সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা কর্তব্যরত সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবগত করলে তাঁরা জব্দ মালামালসহ আটক ব্যক্তিদের বরিশাল কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই জিডির আলোকে পটুয়াখালীতে দুদক মামলাটি করেছে।
মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক রাসেল রনি জানান, দুদক এই মামলা তদন্ত করে খুব শিগগির আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে।