দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ডলার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাকেরহাট কইনাডুবি সেতু মোড় এলাকা থেকে খানসামা থানা–পুলিশ তাঁদের আটক করে। খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আবদুল হান্নান ও ডিবি কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম। আটক শাহিনুর ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত। এর আগে ২০১৩-১৪ সালে শাহিনুর খানসামা থানায় কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নীলফামারী থেকে ঠাকুরাগাঁও ডিবিতে বদলি হন। তবে কয়েক দিন ধরে তিনি ছুটিতে ছিলেন এবং সৈয়দপুরের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রশিদুল ইসলাম ও হামিদুল ইসলাম নামের স্থানীয় দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে ডলার কেনাবেচা করতেন। তাঁরা মূলত ডলার দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল হান্নান। আজ সকালে উপজেলার পাকেরহাট কইনাডুবি সেতু মোড় এলাকায় হান্নান ও সাইদের কাছে রশিদুল ও হামিদুল ডলার বিক্রি করতে আসেন। এ সময় রশিদুল ও হামিদুল ডলার দেওয়ার কথা বলে হান্নান ও সাইদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান।
হান্নানের দাবি, রশিদুল ও হামিদুলের সঙ্গে ডিবি কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলামের যোগসাজশ রয়েছে। রশিদুল ও হামিদুল ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর শাহিনুর সেখানে গিয়ে হান্নান ও সাইদকে আটক করে জেরা করতে থাকেন। এ সময় শাহিনুর তাঁদের দুজনকে মোটরসাইকেলে তুলে নেন। কিছুদূর যেতে না–যেতেই হান্নান ও সাইদ ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন শাহিনুরকে আটক করে মারধর করেন। এ সময় শাহিনুরের সঙ্গে থাকা আরেক পুলিশ সদস্য ও সাইদ পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে খানসামা থানা–পুলিশ শাহিনুর ও হান্নানকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, আটক ডিবি পুলিশ সদস্য শাহিনুর ইসলাম ও আবদুল হান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনার সঙ্গে অন্তত সাত-আটজন জড়িত। ডলার প্রতারণার এই চক্রকে ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।