জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নোটিশ

শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করেন। গত শুক্রবার রাতে জেলা শহরে
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ওই প্রার্থী শুক্রবার রাতে কয়েক শ কর্মী ও জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে মিছিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস গতকাল রোববার বিকেলে ওই নোটিশ জারি করেন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কামরুজ্জামানকে সশরীর হাজির হয়ে এর জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০২৪ অনুযায়ী পাঁচজনের বেশি কর্মী ও সমর্থক নিয়ে জনসংযোগ করা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। শুক্রবারের মিছিলের মাধ্যমে আচরণবিধি সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এ বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সশরীর হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন কামরুজ্জামান, নুরুল আমিন কোতোয়াল, বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, পেনসি বেগম ও আল আমিন খান।

প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা মিছিল, সভা ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। শুক্রবার রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামানের পক্ষে জেলা শহরে মিছিল বের করেন তাঁর সমর্থকেরা। মিছিলে কামরুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন। ওই মিছিলে দুটি জীবন্ত ঘোড়া রাখা হয়। কর্মী-সমর্থকেরা ঘোড়া দুটি সামনে রেখে মিছিল করেন। শুক্রবার রাত আটটার দিকে শরীয়তপুর জেলা শহরের রাজগঞ্জ সেতু এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক ঘুরে চৌরঙ্গি মোড়ে গিয়ে রাত নয়টার দিকে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল চলার সময় শহরের প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান বলেন, ‘বেশি মানুষ নিয়ে মিছিল করা ও মিছিল বা গণসংযোগে জীবন্ত প্রাণী রাখা যাবে না, তা আমার জানা ছিল না। আর ঘটনাটি আমার অতি উৎসাহী কর্মীরা করেছেন। ভবিষ্যতে আর এমন হবে না, সেটা রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি। আর নোটিশের জবাব যথাসময়ে দেওয়া হবে।’

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।