রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শুক্রবার দিনভর গণসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন মেয়র প্রার্থীরা। এদিন নগরের ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা মাত্র আড়াই বছর উন্নয়নকাজে সময় পেলাম। তবে মাত্র আড়াই বছরে যে উন্নয়ন করেছি, সেই কাজের প্রশংসা আমরা রাজশাহীবাসী পাচ্ছি। উন্নয়নকাজ অনেক হয়েছে, আরও হবে। তবে রাজশাহীবাসীর দাবি কর্মসংস্থান। এবার আমার ইশতেহারে ১ নম্বরে রেখেছি কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচিত হলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে ১৬, ১৮, ১৯ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
এ সময় মহানগর জাতীয় পার্টির এই আহ্বায়ক বলেন, তিনি নির্বাচন করছেন, করবেন এটা চূড়ান্ত। এ কথাই তিনি মাঠে মানুষকে জানিয়েছেন।
জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার দরগা মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে গণসংযোগ শুরু করেন। শুক্রবার বিকেলে নগরের সাহেববাজার থেকে শুরু করে কাজলা, বিনোদপুর ও মিজানের মোড় এলাকায় গণসংযোগ করেছেন জাকের পার্টির ছাত্র ফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় এই সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মানুষের দোয়া, সমর্থন ও ভালোবাসা চেয়েছেন। নিজের ভালোবাসার কথা বলেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম বিকেলে নগরীর ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের রাজশাহী মহানগর শাখার এই সহসভাপতি বলেন, তাঁদের মাঠ ভালো মনে হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত গণসংযোগে নৌকা প্রতীকে ভোট চান খায়রুজ্জামান লিটন। শুরুতে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে সাগরপাড়া বড় রাস্তায় পথসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এরপর ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বেলদারপাড়া মোড় ও অলকার মোড়ে পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
নৌকা প্রতীকের এই মেয়র প্রার্থী পথসভায় বলেন, ‘তরুণ-তরুণীদের বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের জন্য শহরে ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। যেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন তাঁরা। আমরা কাজের ক্ষেত্রও দেখিয়ে দেব।’
২০ নম্বর ওয়ার্ডের পথসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আজ যে রাজশাহী একটি পরিচ্ছন্ন শহর, শান্তির শহর হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি পেয়েছে, তার কারিগর খায়রুজ্জামান লিটন। দেশের উন্নয়নের জন্য যেমন শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার, তেমনি রাজশাহীর উন্নয়নে লিটন ভাইকে বারবার দরকার।’