চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভারি বর্ষণে ডুবেছে জঙ্গলভাটিয়ারী এলাকার পূনর্বাসনের জন্য নির্মিত ঘরগুলো। আজ সকালে তোলা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভারি বর্ষণে ডুবেছে জঙ্গলভাটিয়ারী এলাকার পূনর্বাসনের জন্য নির্মিত ঘরগুলো। আজ সকালে তোলা

তৃতীয়বার ডুবল পুনর্বাসনের ঘর, দুর্ভোগে বাসিন্দারা

ভারী বর্ষণে তৃতীয়বারের মতো ডুবেছে সরকারি পুনর্বাসনের ঘর। আজ শনিবার ভোর চারটার দিকে পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জঙ্গলভাটিয়ারী পাহাড়ের ধারে নির্মিত ঘরগুলোয় পানি ঢুকতে শুরু করে। তবে সকাল আটটার দিকে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যায়।

গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সীতাকুণ্ডে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গভীর রাতে ভারী বর্ষণ শুরু হলে পাহাড়ি ঢলে এলাকাটি ডুবে যায়। শুধু পুনর্বাসন এলাকা নয়, সীতাকুণ্ডের নিচু এলাকাও বৃষ্টির কারণে ডুবে গেছে। বিশেষ করে সৈয়দপুর ইউনিয়ন, পৌরসভার আমিরাবাদ, কুমিরা এলাকার সুলতানা মন্দির, ভাটিয়ারী এলাকার জঙ্গলভাটিয়ারী পানিতে ডুবে যায়।

দুটি পাহাড়ের মাঝখানে সমতলে ভূমিহীন পরিবারের জন্য ১৫৫টি ঘর নির্মাণ করেছিল সদ্য পদত্যাগ করা শেখ হাসিনার সরকার। চলতি বছরে ভারী বর্ষণের কারণে পুনর্বাসন এলাকাটি তিনবার ডুবেছে। সেখানকার বাসিন্দা মোরশেদা বেগম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গভীর রাতে যখন ভারী বর্ষণ শুরু হয়, তখন তাঁরা বুঝে যান ঢল হবে। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খাটের ওপর তুলে কোনোমতে ঘুমানোর চেষ্টা করেছেন; কিন্তু ঘুমাতে পারেননি। ভোর চারটার দিকে সড়কের ওপর পানি বইতে শুরু করে। মুহূর্তেই ঢলের পানিতে তাঁদের ঘর ডুবে যায়। সকাল নয়টা পর্যন্ত তাঁরা রান্নাবান্না করতে পারেননি। শুরুতে ঘরগুলো পেয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। এখন আকাশে মেঘ দেখলেই তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

সীতাকুণ্ড আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, এখন লঘুচাপের কারণে দুই দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, পুনর্বাসন এলাকার একটি খালের ভাটিতে থাকা একটি কালভার্টের কারণে পানি নিষ্কাশিত হতে পারছে না। তবে পানি দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে না। কিছুক্ষণ পর নেমে যায়।