মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ১৬ বছরের সেই কিশোরের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মো. নাসির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলাটি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি রেকর্ড হলেও আজ শনিবার সেটি জানাজানি হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করে অভিযোগটি সাইবার নিরাপত্তা আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় শুধু ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই কিশোর সুস্থ ও চিকিৎসাধীন বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে ফেসবুক লাইভ দেখার সময় তাতে কমেন্টে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে ওই কিশোর কটূক্তি করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন বিকেলে কয়েকজন যুবক তাকে ধরে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনারের কার্যালয়ে (দক্ষিণ) নিয়ে যান। সেখানেই রাত ১১টার দিকে উত্তেজিত জনতা ওই কিশোরকে গণপিটুনি দেন। পরে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কৌশলে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই কিশোর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন এবং সে আশঙ্কামুক্ত।
ওই কিশোরের বাবার মুঠোফোনে কল করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁরা নগরের যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলের পর সেখানে আর কেউ যায়নি বলে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, ওই পরিবারের সবার মুঠোফোন নম্বর বন্ধ। এ জন্য তাঁরাও কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না।