ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টেঁটাবিদ্ধ এক ব্যক্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টেঁটাবিদ্ধ এক ব্যক্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সফু সরকার বাড়ির সঙ্গে আজগর আলী সরকার বাড়ির বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধের জেরে আজ সকালে দুই পক্ষের লোকজন রামদা, বল্লম, টেঁটা, ছুরি, লাঠিসোঁটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন টেঁটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আলমগীর হোসেন (৩৬), সোলেমান মিয়া (৩৯), সোহরাব হোসেন (৪৫), রাসেল মিয়া (৩২), রফিক মিয়া (৩৫), দুলাল মিয়া (৩৭), সনি মিয়া (২৭), রাসেল মিয়া (৩১), সামীর মিয়া (৩৬), ইসমাইল হোসেন (৪৪), ইমরান হোসেন (২৯), হক মিয়া (৪৩), মাসুদ মিয়া (৪০), শাহিন মিয়া ৩৯), লালু মিয়া (৪৩), রাব্বি মিয়া (২৬), হোসেন মিয়া (৪৫), শাহ পরান (২৮), শাহজালাল (৩৪), শাহিন মিয়া (৪৫)। তাঁদের পাশের নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দুই মাস আগেও তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তখন টেঁটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছিলেন।

সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার বলেন, দুই মাস ধরে আজগর আলী সরকার বাড়ির মো. সুলতান মাস্টারের পক্ষের লোকজন রাতের বেলা তাঁদের বাড়িঘর ও লোকজনের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে আসছেন। আজ সকালে হঠাৎ সুলতান মাস্টারের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেন। তখন তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য তাঁদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাঁদের কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হন।

আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে মতিউর রহমান ও তাঁর লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেছিলেন। তখন তাঁদের পক্ষের অনেক লোকজন আহত হয়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁরা গ্রামে যেতে পারেন না। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা গ্রামের বাড়িতে গেলে পূর্ববিরোধের জেরে আজ মতির লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। এতে তাঁদের পক্ষের অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শান্তিপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।