গাজীপুর সিটি নির্বাচন

আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জায়েদা খাতুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণায় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের হাতিমারা এলাকায়
 ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টেবিলঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনি টেবিলঘড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজের ছবির সঙ্গে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও ছবি পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে ব্যবহার করছেন, যা সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুসারে বিধি ৮(৫) লঙ্ঘন করেছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬–এর বিধি ৮(৫) উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারও নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে কিংবা ব্যবহার করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেট ছাপাইতে পারিবেন।’

বিধিমালার বিধি ৩১ অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন–পূর্ব সময়ে আচরণবিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং ওই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং বিধি ৩২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থিতা বাতিলের বিধানের কথাও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সিটি করপোরেশন বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী কেন আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর অনুরোধ করা হলো।’