সিলেটে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশুর মধ্যে দুজনকে নিয়ে শঙ্কা

নবজাতক
প্রতীকী ছবি

সিলেটে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের মধ্যে দুজন সুস্থ থাকলেও বাকি দুজনকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চারজনকে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রে (স্ক্যানু) রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা স্বাভাবিক এবং অপর দুজনের (একটি ছেলে ও এক মেয়ে নবজাতক) কিছুটা শারীরিক জটিলতা রয়েছে।

আজ সোমবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ওই চার শিশুর বাবা সত্যরঞ্জন দেবনাথের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত শুক্রবার সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন সত্যরঞ্জন দেবনাথের স্ত্রী মমতা দেবী (২৭)। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যোজাত চার শিশুর মধ্যে দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ে। তাঁদের পাঁচ বছরের আরেকটি মেয়েসন্তান রয়েছে।

শিশুদের বাবা সত্যরঞ্জন দেবনাথ (৩৩) বলেন, ‘চার সন্তানকে স্ক্যানু যন্ত্রের মধ্যে রাখা হয়েছে। আমাদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই। দিনে দুইবার চিকিৎসকেরা শিশুদের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি অবহিত করেন। এর মধ্যে আজ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চার শিশুর মধ্যে দুজনের অবস্থা ভালো। অন্য দুজনের অবস্থা কিছুটা শঙ্কার। তাদের শরীরের ওজন কম। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে।’

দুই শিশুর ওজন ১ হাজার ১০০ ও ১ হাজার ২০০ গ্রাম। অন্য দুজনের ওজন ৯৫৫ ও ৯৩০ গ্রাম। যে শিশু দুটির ওজন বেশি কম, তাদের কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে।

সত্যরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ৪০ সপ্তাহের স্থলে ৩০ সপ্তাহে সন্তানদের জন্ম হয়েছে। এর কারণে ওজন কম হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাচ্চাদের মা সুস্থ রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সন্তানদের কোলে নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন।

মমতা দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হলে ১০ সপ্তাহের সময় আলট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পেরেছিলেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে চার শিশু বড় হচ্ছে। এর পর থেকে স্ত্রীকে আলাদাভাবে দেখভাল করতেন সত্যরঞ্জন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ব্যথা উঠলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, এক সঙ্গে জন্ম নেওয়া চার শিশু ‘প্রিম্যাচিউর’ (অপরিপক্ব শিশু) হয়েছে। এ জন্য তাদের ওজন কম। এর মধ্যে ২ শিশুর ওজন ১ হাজার ১০০ ও ১ হাজার ২০০ গ্রাম। অন্য দুজনের ওজন ৯৫৫ ও ৯৩০ গ্রাম। যে শিশু দুটির ওজন বেশি কম, তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে। তাদের কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। ওই দুই শিশুর শ্বাসকষ্টসহ আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। আরও ২-৩ দিন তাদের পর্যবেক্ষণে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য দুজনের অবস্থা তাদের তুলনায় ভালো।