সিলেটের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী একত্রে নগরের একটি ছড়া পরিদর্শন করেছেন। আজ শনিবার বেলা তিনটায় নগরের স্টেডিয়াম মার্কেট-সংলগ্ন এলাকার ছড়াটি পরিদর্শন করেন। এটি নগর জলাবদ্ধতামুক্ত করতে দুজনে একত্রে কাজ করার ঘোষণার অংশ। ছড়া পরিদর্শনের সময় তাঁরা ছড়ার পানিপ্রবাহে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তদারক করেন এবং সমস্যা সমাধানে একে অপরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, নগরকে জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই দিতে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ২৩টি ছড়াকে নতুনভাবে খননের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ কাজের অংশ হিসেবে ছড়ার পার্শ্ববর্তী স্থানগুলো দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। এ অবস্থায় দুই মেয়াদের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পরামর্শ ও সহায়তা চান বর্তমান মেয়র। আরিফুল হক আহ্বানে সাড়া দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ছড়া পরিদর্শনকালে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নগরের ভেতর দিয়ে ২৩টি ছড়া প্রবাহিত হয়েছে। এসব ছড়ার আশপাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১৯৫৬ সালের নকশা ধরে খনন করা হবে। প্রতিটি ছড়াকেই সুরমা নদীর সঙ্গে যুক্ত করা ও সুরমা নদীও খনন করা হবে। সুরমা নদীর সিটি করপোরেশন এলাকা শুধু খনন করলে হবে না, সেটা উৎপত্তিস্থল থেকে খনন করতে হবে।
সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘তিনি (আরিফুল) আন্তরিকতার সঙ্গে আমাকে সহযোগিতা করছেন। তাঁর ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কাজ করব। তিনি কোথায় কোথায় প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন, সেগুলোও আমাকে অবহিত করেছেন। আমরা সেসব প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা চালাব।’
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বহু বছর ধরে আমরা দেখছি নগরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে যান এবং মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। এটি আর দেখতে চাই না। এর দায়ভার শুধু সিটি করপোরেশনের নয়; যেসব ছড়া, খালের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু ব্যক্তিমালিকানার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা যদি নগরবাসীর কথা বিবেচনা করে এগুলো ছেড়ে দেয়, তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। নতুবা বর্তমান মেয়র তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। ছড়াগুলো উদ্ধার করা গেলে সিলেটবাসী বন্যার কবল থেকে অনেকটা রক্ষা পাবেন।’
নেতৃত্বের অভাবের কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের চেয়ে সিলেট অনেক পিছিয়ে রয়েছে মন্তব্য করে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে। তিনি দায়িত্ব নিয়ে সিলেটের উন্নয়ন করতে পারবেন। সিলেট সিটির মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কাজ করলে মূল উৎপত্তিস্থল থেকে নগরের ছড়া সরকারিভাবে খননসহ শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ করা যেতে পারে। তাহলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে। কালক্ষেপণ না করে একটা একটা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’