৭২ ঘণ্টার অবরোধে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় অন্তত দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁরা তিন দিন ধরে সেখানে আটকে আছেন। এসব পর্যটকের মধ্যে কেউ কেউ আজ সোমবার জরুরি প্রয়োজনে ও অসুস্থতার কারণে হেলিকপ্টারে করে ফিরছেন।
সাজেকে রিসোর্ট–কটেজে পর্যটকদের আসা–যাওয়া ও অবস্থান নিয়ে কাজ করেন মতিজয় ত্রিপুরা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার দেড় শতাধিক বড় গাড়ি ও ২০টির বেশি ছোট গাড়ি নিয়ে পর্যটকরা আসেন। কিন্তু হঠাৎ অবরোধ শুরু হওয়ায় সবাই আটকা পড়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে সহিংসতা–সংঘাতের প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠন। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও (ইউপিডিএফ) অবরোধে সমর্থন দেয়। এতে সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে অবরোধ কর্মসূচি শেষ হবে।
সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ বলেন, অবরোধে অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু টাকা নিতে হয়, কারণ পানির বিল ব্যয়বহুল। জরুরি প্রয়োজনে অনেকে হেলিকপ্টারে করে ফিরে যাচ্ছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, অবরোধে সাজেকে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। তাঁদের আজ সোমবার ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হবে।