রিমা আক্তার
রিমা আক্তার

নান্দাইলে দ্বিতীয় স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন স্বামী, প্রথম স্ত্রী আটক

ময়মনসিংহের নান্দাইলে রিমা আক্তার (১৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছেন তাঁর স্বামী পারভেজ মিয়া। আজ বুধবার সকালে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লোকজন ধাওয়া করেও পারভেজ মিয়াকে ধরতে পারেননি।

নিহত রিমা আক্তার আচারগাঁও ইউনিয়ন কোনাডাংগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। রিমার স্বজনদের অভিযোগ, রিমাকে তাঁর স্বামী পারভেজ এবং পারভেজের প্রথম স্ত্রী হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় পারভেজ মিয়ার প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে রিমা আক্তারকে অচেতন অবস্থায় নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁর স্বামী পারভেজ মিয়া। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পারভেজ মিয়া আচারগাঁও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আহমেদ হোসেনের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, রিমা আক্তার সিংরইল ইউনিয়নের দিলালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে পারভেজ মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। তিন মাস আগে আদালতে এফিডেভিট করে তাঁদের বিয়ে হয়। তবে রিমা জানত না যে তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী আছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দুজনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। একপর্যায়ে রিমা বায়না ধরে যে প্রথম স্ত্রী ঝুমা আক্তার পারভেজের বাড়ি থেকে চলে না গেলে সে ওই বাড়িতে যাবে না। পরে বুঝিয়ে–শুনিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান পারভেজ মিয়া।

রিমার মা মর্জতা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে পারভেজ কৌশলে বিয়ে করে। তার পর থেকে আর খোঁজখবর নেয়নি। সকালে মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমার মেয়েকে তার স্বামী ও প্রথম স্ত্রী মিলে হত্যা করেছে।’

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ঘটনা জানতে পেরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী পলাতক। প্রথম স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।