জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে

ক্ষেতলালে নির্বাচনের ২০ দিন পর ভোটকেন্দ্রে মিলল ২১০০ ব্যালট পেপার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত ২ হাজার ১০০ ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল মঙ্গলবার ব্যালট পেপারগুলো পাওয়া যায়। আজ বুধবার সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন।

ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা খাতুন বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট পেপার বইয়ের ২ হাজার ১০০ ব্যালট তাঁকে বুঝিয়ে দেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানে পদে ৭০০টি করে ব্যালট পেপার আছে। ভোট গ্রহণ শেষে অব্যবহৃত ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দিতে হয়। সেখানে কেন এমন ঘটনা ঘটল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রথম ধাপে ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। নির্বাচনে আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন ক্ষেতলাল সরকারি ছাইদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানজির আহমেদ সাকিব। ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৭। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ওই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ১ হাজার ৯৯৭টি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের একটি আলমারি খোলা হয়। অফিস সহায়ক আলমারির ভেতরে একটি বস্তা দেখে তা খুলে ভেতরে অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট পেপারের বই পান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান প্রধান শিক্ষক। নির্বাচন কর্মকর্তা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের পিয়নের মাধ্যমে তাঁকে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে বলেন।

আজ বুধবার ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাকিব ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসানের কাছ থেকে ব্যালট পেপারগুলো বুঝে নেন। এরপর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তিনি ব্যালট পেপারগুলো জমা দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান বলেন, ‘ভোটের পর মঙ্গলবার আমরা আলমারি খুলেছি। আলমারির ভেতরে একটি বস্তায় অব্যবহৃত সাতটি ব্যালট পেপারের বই পেয়েছি। ইউএনও স্যারকে ঘটনা জানানোর পর আজ সকালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাকিব বিদ্যালয়ে এসে ব্যালট পেপার নিয়ে গেছেন। আমরা ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দেওয়ার কাগজপত্র রেখেছি।’

জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সাকিব প্রথমে ব্যালট পেপার জমা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রায় এক মাস হতে চলেছে। আপনি এখন ব্যালট পেপারের কথা কেন জিজ্ঞাসা করছেন। ভোট শেষে অব্যবহৃত ব্যালট জমা দিয়েছি।’ আজ জমা দিয়েছেন—জানালে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। বলেন, সহকর্মীরা ভুল করে অব্যবহৃত ব্যালট পেপারগুলো ছেড়ে এসেছিলেন। আজ ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে ব্যালটগুলো এনে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।