নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে দেবরের ছুরিকাঘাতে পারুল বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের আমদিয়া বাজার-সংলগ্ন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পারুল বেগম আমদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমদিয়া বাজার এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত দেবরের নাম জসিম উদ্দিন (৩৫)। তিনি ওই বাড়ির গৃহকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা দুখু মিয়ার ছেলে ও নিহত নারীর স্বামী লোকমান হোসেনের ছোট ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়িটিতে দুই ভাই লোকমান হোসেন ও জসিম উদ্দিনের পরিবার আলাদা ঘরে বসবাস করেন। বাড়িতে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিল। এ ছাড়া বাড়ির আঙিনায় কাপড় টানানো ও একটি গাছ কেটে ফেলা নিয়েও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বাড়ির আঙিনায় পারুল বেগম ও জসিম উদ্দিনের মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতে থাকা একটি ছুরি দিয়ে পারুলের পিঠের নিচের অংশে আঘাত করে বসেন জসিম। স্বজনেরা দ্রুত পারুলকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মাধবদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।
সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পলাশ মোল্লা বলেন, পারুল বেগম নামের ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর পিঠের নিচের অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
মাধবদী থানার ওসি মো. রকীবুজ্জামান বলেন, দেবরের ছুরিকাঘাতে আহত ওই নারী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন পলাতক। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।