বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র আঘাতে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে ২৯ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে ঝালকাঠি জেলা। বিদ্যুতের অভাবে জেলা শহরে পৌরসভার পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বিদ্যুৎ ও পানিবিহীন অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ঝালকাঠি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বরিশাল শহরতলির জাগুয়া এলাকায় জাতীয় গ্রিডের ৩৩ কেভির সঞ্চালন লাইনে পাঁচটি চাম্বলগাছ পড়ে। এতে আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ঝালকাঠির ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিঁড়ে গেছে। এতে পুরো শহরসহ জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। আজকের মধ্যে সংযোগ–মেরামত করার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ঝালকাঠিতে রোপা আমন ফসলের ৭৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। খেসারিসহ মাঠে থাকা সবজিরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারী বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি ও খেসারি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।