নরসিংদীর পাঁচদোনায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করতে এসে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, পাঁচদোনায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি—বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।
আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে তিনি ভাঙচুর করা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।’ তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।’
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।’
জেলা প্রশাসক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, সদর আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন প্রমুখ।