সিলেটে রাস্তায় পুলিশের গাড়ি দেখে দ্রুততম গতিতে প্রাইভেট কার নিয়ে পালানোর সময় দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনায় ধাক্কা লাগে। পরে প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে চোরাচালানের ১২ লাখ টাকার ভারতীয় প্রসাধনীসহ যুবদল নেতা ফয়জুল হাসানকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় ফয়জুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ফয়জুল হাসান জৈন্তাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু নয়াগ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার বিকেলে শাহপরান থানা–পুলিশের একটি টহল দল সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সুরমা গেট থেকে শাহপরান মাজার গেটের দিকে যাচ্ছিল। মাজার গেটের সামনে পুলিশের গাড়ি দেখে জৈন্তাপুরের দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মাজার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেয় প্রাইভেট কারটি। পরক্ষণে প্রাইভেট কারের চালক দ্রুত পালিয়ে যান। তবে প্রাইভেট কারে থাকা যুবদল নেতা ফয়জুল হাসানকে ভারতীয় অবৈধ প্রসাধনীসহ আটক করেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় প্রাইভেট কারে তল্লাশি করে ভারত থেকে নিয়ে আসা ৪ হাজার ৩০০টি প্রসাধনসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ সময় জব্দ করা হয় প্রাইভেট কারটি। জব্দ করা প্রাইভেট কারটির বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় সিলেট শাহপরান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে শাহপরান থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় ফয়জুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় পলাতক প্রাইভেট কারের চালককেও আসামি করা হয়েছে।
শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ভারতীয় প্রসাধনীসহ আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতীয় চোরাচালানের চিনিসহ সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রুফিয়ান আহমদের বড় ভাই সুফিয়ান আহমদসহ আরও তিনজনকে আটক করে শাহপরান থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল।