সিলেটে সাড়ে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন জৈন্তাপুরের জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলের নাহিদ আহমদ (১৩), ভিত্রিখেল বরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৫), কানাইঘাট পৌর এলাকার দলইমাটি এলাকার নুর উদ্দিন (৬০), লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওরের কালা মিয়া (২৮) ও গোয়াইনঘাটের ভিত্তিখেল হাওর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম (৪৭)।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে কয়েক দিন ধরে খরতাপের পর দুপুর ১২টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। জৈন্তাপুরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সারিঘাট এলাকা থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে বজ্রপাতের শিকার হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে নাহিদ আহমদ। পরে তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় ভিত্রিখেল বরবন্দ গ্রামে নিজ জমিতে চাষাবাদ করছিলেন আবদুল মান্নান। এ সময় বজ্রপাতের শিকার হন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে বিকেল চারটার দিকে কানাইঘাট পৌর এলাকার দলাইমাটি ও উপজেলার কেওটিহাওর এলাকায় পৃথক বজ্রপাতে দুজন মারা যান। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল চারটার দিকে কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউপির কেওটিহাওরে মাছ ধরছিলেন কালা মিয়া। এ সময় বজ্রপাতের কবলে পড়লে হাওরেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রায় একই সময়ে কানাইঘাট পৌর এলাকায় মাঠে কাজ করার সময় নুর উদ্দিন বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যান।
সিলেটের কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার প্রথম আলোকে বলেন, বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ছাড়া বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ভিত্তিখেল হাওরে বজ্রপাতে রুকসানা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিজ বাড়ির পাশে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হন রুকসানা বেগম। পরে নিহত নারীর পরিবারকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অগ্রিম সরকারি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন।