লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় নুর আলম (২৮) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রোববার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন নুর আলমের স্ত্রী।
নিহত নুর আলমের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনেশ্বর গ্রামে। তিনি কালীগঞ্জের কাকিনা কাচারি বাজারের একটি সেলুনে নরসুন্দর হিসেবে কাজ করতেন। নুর আলমকে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল হক (৪০) ও অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনজনকে।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে কাকিনা কাচারি বাজারে নিজের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন নুর আলম। এ সময় সড়কের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে মালিকের খোঁজে ডাকাডাকি করেন তিনি। তবে কেউ না আসায় মোটরসাইকেলটি ঠেলে নিজের বাড়ির পাশে নিয়ে রাখেন। পরদিন সকালে কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নুর আলমের বাড়িতে এসে জানান, তাঁর মোটরসাইকেলটি হারিয়ে গেছে।
মোটরসাইকেলটি রাস্তার পড়ে থাকার পর নিজের বাড়িতে এনে রাখার কথা জানান নুর আলম। এ সময় তিনি আসাদুলকে বলেন, মোটরসাইকেলটি নিতে হলে তাঁকে চা-মিষ্টি খাওয়াতে হবে। এরপর আসাদুলসহ তাঁর সঙ্গীরা মোটরসাইকেলসহ নুর আলমকে ওই গ্রামের দুল্লার বাজারে নিয়ে লোহার রড ও গাছের ডাল দিয়ে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে রোববার দুপুরে মারা যান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ কবির প্রথম আলোকে বলেন, নুর আলমের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী।