চট্টগ্রামের রাউজানে আবার রাতভর নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার পর থেকে এমন অভিযোগ করে ওই পরিবারের দুজন সদস্য ফেসবুকে লাইভ করেন। লাইভে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়। লাইভে এসে আতঙ্ক এবং বিপদের কথা বলে পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা চান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমদের ছেলে ও খায়েজ শপিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও তাঁর চাচাতো ভাই উপজেলা গণসংহতি আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাসেল।
তাঁরা দুজনে আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাত ২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ৪০ থেকে ৫০টি গুলি ছোড়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। একই সঙ্গে তাঁদের পুরো বাড়ির ৮ থেকে ১০টি ক্লোজ সার্কিট সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। তাঁদের দাবি, মূলত দলীয় দ্বন্দ্ব এবং চাঁদার দাবিতে তাঁদের বাড়িতে বিএনপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী পরিচয় দেওয়া একটি সিন্ডিকেট তাঁদের ওপর কিছুদিন পর হামলা এবং বাড়িতে গুলি করা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের পুরোনো বাড়ি আসদ আলী মাতব্বর পাড়া মসজিদ এলাকায় ২০ থেকে ২৫ অস্ত্রধারী মুখোশ পরা সন্ত্রাসী কামাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসী বাধা দিলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এতে অন্তত গ্রামের ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। ১০ নভেম্বর সকাল ৯টায় প্রকাশ্যে একদল অস্ত্রধারী তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণ করেছিল।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে গতকাল সকালে মামলা হয়েছে। আহত ব্যক্তি মহিউদ্দিনের ভাই মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী ২৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মুহাম্মদ রুবেল (৩১), মুহাম্মদ জুয়েল (২৩), মুহাম্মদ আব্দুল, মুহাম্মদ কামাল (৪৫), মুহাম্মদ বাবলু (২৮)।
রাউজান থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পাঁচ আসামিকে গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে থানা এবং জেলা পুলিশের একাধিক দল।