জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার ১ নম্বর আসামি সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় কুমিল্লার ১ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আবু বকর সিদ্দিক ওই আদেশ দেন। পরে রায়হান সিদ্দিককে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহকারী প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন একই আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে কুমিল্লার ১ নং আমলি আদালতে অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার প্রধান আসামি রায়হান সিদ্দিকের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো আবু তাহের। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
অবন্তিকার আইনজীবী সৈয়দ নুরুর রহমান বলেন, এ মামলার মূল অপরাধী আম্মান। তাঁর জামিন হতে পারে না। আম্মানের কারণে অবন্তিকা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সুতরাং আম্মানকে জামিন দিলে ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ হওয়ার শঙ্কা আছে।
১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কুমিল্লা নগরের দমকল পুকুরের উত্তরপাড়ে অবস্থিত অরণি বাসার দ্বিতীয় তলায় ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৬ মার্চ রাতে অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এই মামলায় তাঁদের ১৭ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। ১৮ মার্চ আদালতে তাঁদের হাজির করা হয়। আদালত আম্মানকে দুই দিন ও দ্বীন ইসলামকে একদিনের রিমান্ডে দেন।