বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে কর্মবিরতি পালন করছেন একটি ওষুধ ও তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ রোববার সকাল থেকে নিজ নিজ কারখানার ভেতর এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এতে বন্ধ রয়েছে কারখানাগুলোর সামগ্রিক উৎপাদন কার্যক্রম।
ওই কারখানাগুলো হলো টঙ্গীর খাঁ পাড়ার সিজন ড্রেসেস লিমিটেড, ২৭ বাগানবাড়ি এলাকার প্রিন্স জ্যাকার্ড লিমিটেড, খাইলকুরের এম এম ফ্যাশন লিমিটেড এবং চেরাগআলীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কারখানাগুলোতে কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এরপর জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। বকেয়া বেতনের দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর থকে কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকেও কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকেরা।
একইভাবে আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিডেট ও এম এম ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকদের। বেতনের দাবিতে কয়েক ধরেই কারখানা দুটিতে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। আজ সকাল তাঁরা কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আর শনিবার ছয় দফা দাবিতে কারখানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শ্রমিকেরা। সেদিন কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা কাজে ফেরেন। কিন্তু এরপরও সেসব দাবি পূরণ হয়নি জানিয়ে আজ থেকে আবারও দেখা দেয় অসন্তোষ। সকাল থেকেই কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানার মালিকেরা সময়মতো বা ঠিকমতো বেতন পরিশোধ না করায় পোশাকশ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পাশাপাশি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সমস্যা আগে থেকেই। সব দাবি না মানায় আবার শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। চারটি কারখানার শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি, যেন সড়ক অবরোধ বা কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করেন।’