আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খুলনা-১ আসনের প্রার্থী ননী গোপালকে শোকজ

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় ছাদখোলা গাড়িতে আসেন ননী গোপাল মণ্ডল। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মহড়া দেন
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে আগামী শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সশরীর উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে ননী গোপালকে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আবু সাঈদের স্বাক্ষর করা চিঠি আজ বুধবার ননী গোপালের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ননী গোপাল মণ্ডল ১০ ডিসেম্বর দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নে নির্বাচনী গণসংযোগ চালান এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন মোড়ে পথসভা করে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এর মাধ্যমে ননী গোপাল মণ্ডল নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ১০ (ক) ও ১২ ধারা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে এসেছে। ননী গোপালের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে না, সে জন্য তাঁকে সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ননী গোপাল মণ্ডল এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এই বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ননী গোপাল মণ্ডল প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। তিনি বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ননী গোপাল দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চাকা মার্কায় নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে ননী গোপাল নৌকার প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাসের কাছে হেরে যান। নৌকার বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন পঞ্চানন বিশ্বাস। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ননী গোপাল মণ্ডলকে জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়।