পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের চারজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আটঘরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলী (৪০), লিটন শেখ (২৯), মো. আবদুল্লাহ (৩৩), খোয়াজ শেখ (৪০) ও আজমত শেখ (৩২)। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ছেলের সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন ওই গৃহবধূ। ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁকে বাড়িতে রেখে কাজে যান ওই গৃহবধূর ছেলে। রাতে বাড়িতে ফিরে তিনি মাকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন, কিন্তু কোথাও তাঁর হদিস মিলছিল না। নিখোঁজের তিন দিন পর বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই সিদ্দিক প্রামাণিক বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিক নামের দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার আবদুর রাকিব রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের পর ওই নারীকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছিল—আদালতে এটা প্রমাণ হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।