গোয়ালন্দে ধরা পড়ল ৪ পাঙাশ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জেলেদের জালে ধরা পড়ে এ চারটি পাঙ্গাশ বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার টাকায়
ছবি : প্রথম আলো

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় নদীতে থেকে চারটি পাঙাশ ধরেছেন জেলেরা। ওই ৪ মাছ ৫২ হাজার টাকায় নিলামে কিনে নেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা এবং যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে মাছ চারটি ধরা পড়ে। পদ্মা এবং যমুনা নদীর মিলনস্থল হচ্ছে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, ফেরিঘাটের কাছে বাহিরচর দৌলতদিয়ায় নদীর মোহনায় পানির গভীরতা বেশি থাকায় বড় মাছ ধরা পড়ে। এ কারণে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ অঞ্চলের জেলেরা মাছ শিকারে এখানে আসেন।

জেলেরা জানান, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে নদীতে জাল ফেলেন মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জের গোপাল হালদার ও তাঁর দল। বাহিরচর দৌলতদিয়া থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভাটিতে মানিকগঞ্জ হরিরামপুর এলাকায় জাল তুলে দেখেন বড় আকারের একটি পাঙাশ ধরা পড়েছে। এরপর জাল ফেলেন জাফরগঞ্জের জেলে নিরা হালদার। তিনি জাল ফেলে ভাসতে ভাসতে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় যান। আজ ভোরে জাল তুলতেই দেখেন মাঝারি আকারের একটি পাঙাশ আটকা পড়েছে জালে। দৌলতদিয়া মনির সরদার পাড়ার জেলে আক্কাছ সরদার ধরেন আরও দুটি পাঙাশ মাছ। মাছগুলো বিক্রির জন্য তাঁরা আনেন দৌলতদিয়া মাছবাজারে আনেন।

মোহন মণ্ডলের আড়তে মাছগুলো ওজন করা হয়। গোপাল হালদারের পাঙাশটির ওজন প্রায় ১৫ কেজি ও নিরা হালদারের পাঙাশ ছিল ১১ কেজি। আর জেলে আক্কাছ সরদার স্থানীয় বাবু সরদারের আড়তে মাছ ওজন দিয়ে দেখেন ১টি ১১ কেজি, অপরটির ওজন সাড়ে ৮ কেজি। পরে নিলামে তোলা হলে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ পাঙাশ চারটি কেনেন।

ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশটি ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি করে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন। বাকি মাছগুলো কিনেছেন ৩৩ হাজার ৬৭৫ টাকায়। দুই ঘণ্টা পর রাজবাড়ীর দুই ব্যক্তি পাঙাশ ৪টি ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকায় কিনে নেন।

গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলনস্থল গোয়ালন্দ হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি আশপাশের চার জেলার জেলেরা এখানে মাছ শিকারে আসেন। কারণ, অন্তত মোহনায় জাল ফেললে বড় মাছের সন্ধান মেলে। বর্তমানে নদীতে পানি বেশি থাকায় মাঝেমধ্যে বড় মাছ ধরা পড়ছে।