একুশে পদকপ্রাপ্ত শহীদ সাংবাদিক হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে খুলনার পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ। আজ বৃহস্পতিবার ছিল হুমায়ুন কবিরের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নগরের সাতরাস্তা মোড়ে শহীদ ডা. মিলন চত্বরে এ আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত শহীদ সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর হত্যাকাণ্ডের ‘হাস্যকর তদন্ত’ সাংবাদিক সমাজ থেকে বারবার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছিল। তাঁর মধ্যে হত্যা মামলায় সবাই খালাস পেয়েছেন। আবার বিস্ফোরক মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন হওয়ার বিষয়টা ধূম্রজালের সৃষ্টি করে। খুলনার সাংবাদিক সমাজ এ হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিল, তা ছাড়া ওই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কারা, এর পেছনে অর্থের জোগানদাতা কারা, তা জানা যায়নি। তাই সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে পুনঃতদন্তের দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবী সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ খুলনার আহ্বায়ক এস এম হাবিব। আরও বক্তব্য দেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার রহমান, শেখ দিদারুল আলম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মো. শাহ আলম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন, খুলনা টিভি রিপোর্টার ইউনিটির সদস্যসচিব বাবুল আক্তার, সাবেক সভাপতি সুনীল কুমার দাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২৭ জুন খুলনার দৈনিক জন্মভূমি সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে নিজ কার্যালয়ের সামনে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ২০০৮ সালে হত্যা মামলার রায় দেন আদালত। রায়ে সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ১৬ বছর পর ২০২১ সালে একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা আরেকটি মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
এদিকে হুমায়ূন কবীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ূন কবীর মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। সভায় খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, দৈনিক জন্মভূমির প্রধান সম্পাদক ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হুদা, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান প্রমুখ।