চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি বছরের ডায়েরিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের ছবির বদলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি টানেলের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে ভুল স্বীকার করে বিষয়টির তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার এ কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরির ভেতরে শেষ অংশে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ছবি ব্যবহার করার রীতি রয়েছে। গত বছর এতে পদ্মা সেতুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। অবশ্য ২০২২ সালের ডায়েরিতে কোনো ছবি ব্যবহার করা হয়নি।
এ বছর বঙ্গবন্ধু টানেল মনে করে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এলিজাবেথ রিভার টানেলের। এই টানেলের কাজ শেষ হয়েছিল ২০১৭ সালে। এর দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ২৮ কিলোমিটার।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। সংযোগ সড়কসহ এ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। আর টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
প্রশাসনে অযোগ্য ব্যক্তিরা থাকার কারণেই ডায়েরিতে ভুল ছবি ছাপানোর ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অফিশিয়াল ডায়েরিতে এত বড় ভুল ছবি ব্যবহার করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রশাসনের ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার আরেক প্রতিচ্ছবি এটি।
তবে ভুল ছবির ব্যবহার নিয়ে সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসির পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার, আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফরিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এই তথ্য নির্দেশিকা অতিসত্বর প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’