ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রাম এবং গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মাধপুরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
মাধপুরের দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামের আবদুর রহিমের স্ত্রী মেরিনা আক্তার (৩২), তাঁর ছেলে জুনায়েদ (৩), ঢাকার সাভার উপজেলার হুমায়ুন কবির (৪৮) ও ঝালকাঠি সদরের আবদুল রউফ হাওলাদার (৫০)। অন্যদিকে মুনসুরাবাদ গ্রামে বাসচাপায় নিছু মাতুব্বর (৪৩) নামের এক দিনমজুর নিহত হন। তিনি নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে বরিশালে যাচ্ছিল। বাসটি ভাঙ্গা উপজেলার মাধপুরে পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হন। দুর্ঘটনায় আহত আরও পাঁচজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দুজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে মুনসুরাবাদ এলাকার বাসিন্দারা জানান, উপজেলার মুনসুরাবাদ বাজার থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশ ধরে হেঁটে বাড়িতে ফিরছিলেন দিনমজুর নিছু মাতুব্বর। মুনসুরাবাদ বাজার পার হয়ে স্থানীয় আদেল মাতুব্বরের বাড়ির কাছে এলে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী ‘পর্যটক’ পরিবহনের একটি বাস তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে।
নগরকান্দার কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মিলন মাতুব্বর বলেন, নিছু মাতুব্বর খুব গরিব মানুষ। কোনোমতে মানুষের খেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ওসি তৈয়বুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।