ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আবদুল মুহিত (৪৮) নামের ওই শিক্ষককে আসামি করে সরাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর মা-বাবা প্রবাসে থাকেন। ছাত্রী তার মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। প্রতিদিনের মতো গত বুধবার সকালে সে বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন বিরামহীনভাবে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। বেলা তিনটায় বিদ্যালয় ছুটি হয়। কিন্তু শিক্ষক আবদুল মুহিত কৌশলে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়ার কথা বলে রেখে দেন। বাকি সবাইকে বাড়ি যেতে বলেন। একসময় বিদ্যালয়ে ওই ছাত্রী ও শিক্ষক ছাড়া কেউ ছিল না। তখন শিক্ষক মুহিত দরজা বন্ধ করে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মুহিত পলাতক।
চিৎকার করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রীকে একটি ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেন শিক্ষক। পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে তার নানির কাছে ঘটনা খুলে বলে। ছাত্রীর মামা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল মুহিত পলাতক। তাঁর বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আসামি গা ঢাকা দিয়েছেন।’