ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গতকাল রাতেই রক্তমাখা ছুরিসহ দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম সুফিনূর রহমান ওরফে সফিক মিয়া (৩০)। তিনি একই গ্রামের হাফেজ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার শিবপুর বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। আটক দুজন হলেন একই গ্রামের আবদুল কাইয়ুমের দুই ছেলে আবদুর রহমান ও ফয়জুর রহমান। তাঁরা কসাইয়ের কাজ করেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর নবীনগর উপজেলার শিবপুর এলাকার অলেক শাহ মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সুফিনূর রহমানের বড় ভাই রুবেল মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার আবদুর রহমান তর্কে জড়িয়ে পড়েন। আবদুর রহমান একপর্যায়ে রুবেলকে কয়েকটি থাপ্পড় দেন। এ ঘটনার জেরে গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে লোকজন নিয়ে আবদুর রহমানের বাড়িতে যান রুবেলের ভাই সুফিনূর। সেখানে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে সুফিনূরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন আবদুর রহমান ও তাঁর ভাই ফয়জুর রহমান। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় আবদুর রহমান ও ফয়জুর রহমানও আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কয়েকজনকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুফিনূরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রক্তমাখা ছুরিসহ আবদুর রহমান ও ফয়জুরকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা আহত হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর নিহত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।