শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বিয়ের এক মাসের মাথায় সুমী আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাবার বাড়ি থেকে সুমীর লাশ উদ্ধার করে থানার পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ময়নাতদন্ত করা হয়।
সুমী আক্তার উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চকবন্দী গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং বারারচর গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন সুমীর স্বজনেরা। তাঁর বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ের পর থেকে সুমী কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করত। গতকাল শুক্রবার সুমীর স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা। এর আগেই সে কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছেন না।
পুলিশ ও মৃত নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে গত ৩০ আগস্ট শ্রীবরদীর বারারচর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আল আমিনের সঙ্গে সুমী আক্তারের বিয়ে হয়। আল আমিন নারায়ণগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বিয়ের পর ১২ দিন স্বামীর বাড়িতে ছিলেন সুমী। পরে বাবার বাড়িতে আসেন। গতকাল আল আমিনের ছুটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি আসার কথা ছিল। এ দিন বিকেলে স্বজনেরা চকবন্দী বাবার বাড়ির গোসলখানায় গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সুমীকে ঝুলতে দেখেন স্বজনরা।
সংবাদ পেয়ে শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ নূর আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই নারীর আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় মৃত সুমীর বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। পুলিশ তাঁর (সুমী) মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।