হলফনামা বিশ্লেষণ

দামুড়হুদায় মুনছুরের ব্যাংকে জমা বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ গুণ

মো. আলি মুনছুর
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলি মুনছুর পাঁচ বছর ধরে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে স্ত্রীসহ তিনি রাজধানীতে ১টিসহ ৯টি প্লটের মালিক হয়েছেন। এসব জমি ছাড়াও ৫ বছরে তাঁর ও স্ত্রীর নামে সম্পদ, ব্যাংকে জমা টাকা এবং ব্যক্তিগত আয় সবই বেড়েছে। তাঁর নামেই ব্যাংকে জমা টাকা বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ গুণ।

আলি মুনছুর আগামী ৮মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৯ সালে ও এবার নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে তাঁর সম্পদ ও ব্যাংকে জমা টাকা বাড়ার এই চিত্র পাওয়া গেছে। আলি মুনছুর চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আলি আজগারের ভাই। এবারের নির্বাচনে মুনছুরের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুজন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মুনছুর ২০১৯ সালে স্থাবর সম্পদ হিসেবে স্থানীয় দক্ষিণ চাঁদপুর মৌজায় দশমিক শূন্য ২ একর কৃষি জমির ক্রয়সূত্রে ৫০ শতাংশের মালিক হিসেবে দেখিয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের হলফনামায় তাঁর কোনো কৃষি জমি নেই বলে উল্লেখ করেছেন। অকৃষি জমির কলামে নিজের নামে ঢাকার কাটাসুরে ১টি ও নিজ এলাকায় ৪টি সহ মোট প্লটের কথা উল্লেখ করেছেন। এই পাঁচটি প্লটের জমির অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো জমি না থাকলেও এবার দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৫টি প্লট দেখিয়েছেন। এগুলোর অর্জনকালীন মূল্য দেখানো হয়েছে ৩২ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

আলি মুনছুর আগামী ৮মে অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ২০১৯ সালে নিজের নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা মাত্র ১ হাজার ৯৩ টাকা দেখানো হলেও এবার দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭৪ টাকা। সে হিসাবে পাঁচ বছরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আলি মুনছুরের জমা বেড়েছে ২ হাজার ৫৩৮ গুণ। একই কলামে আগের নির্বাচনে স্ত্রীর নামে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪৫ টাকা দেখানো হয়েছে। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ৯২২ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ বছরে বেড়েছে প্রায় ২৮ গুণ।

স্নাতক পাস মো. আলি মুনছুর পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। ২০১৯ সালে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং এবার দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৫ টাকা। এ ছাড়া, উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী ভাতার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৭৫ টাকা ও ব্যাংক সুদ ২৭ হাজার ৪৪৯ টাকা বার্ষিক আয় হিসেবে যোগ হয়েছে।