আওয়ামী লীগ–সমর্থিত সাবেক সংসদ সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, না হলে কেন হয়নি, তা জানতে চেয়ে উপজেলা বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি। চিঠিতে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরা এলাকায় থাকছেন কি না, এ ব্যাপারেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদের পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়। ২০ অক্টোবর চিঠিটি তাঁদের পাঠানো হয়। শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান চিঠি পাওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। ইতিমধ্যে এসব তথ্য জেলা বিএনপির কাছে পাঠিয়েছে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি।
বিএনপি নেতা তানভীর মাহমুদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রিয় সহকর্মী, আসসালামু আলাইকুম। নির্দেশিত হয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে শাহজাদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক এমপি, সাবেক মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানদের কার কার নামে মামলা হয়েছে, এদের বিরুদ্ধে মামলা না হলে কেন হলো না, এ বিষয়ে প্রতিটি নামের পাশে তালিকা করে তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করছি। এ ছাড়া কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়েও তালিকা প্রদানের অনুরোধ করছি।’
চিঠিতে সব তথ্য লিখিত আকারে তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠির অনুলিপি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিএনপির পাঁচ নেতাকে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান (আরিফ) প্রথম আলোকে বলেন, চিঠি পাওয়ার পর ইতিমধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা–সংক্রান্ত তথ্য জেলা বিএনপিতে পাঠানো হয়েছে। এই উপজেলায় তেমন কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এ জন্য মামলাও তেমন হয়নি। ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার মামলায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য কিছু ঘটনায় সাবেক এমপি, মেয়রসহ চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে নেতা-কর্মীদের সোচ্চার করা হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাবেক এমপি, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা না দেওয়া নিয়ে উপজেলা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আসছে। এ জন্য পর্যায়ক্রমে ওই সব উপজেলার সভাপতি, সম্পাদককে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। আজকের মধ্যে তাঁরা তথ্য হাতে পাবেন। পরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’