রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় মো. জসীম উদ্দিন (৩৫) নামে স্থানীয় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার জসীম উদ্দিন উপজেলার চান্দুপাড়া এলাকার মৃত রসুল উদ্দিনের ছেলে। তিনি উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, ট্রাক পোড়ানোর ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
গতকাল সোমবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের নন্দনহাট মোড়ে পেট্রলবোমা মেরে একটি ট্রাক পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় রাতে মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। জসীম মামলার ৭ নম্বর আসামি। মামলার অন্য আসামিদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ। তবে ট্রাক পোড়ানোর মামলায় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল দুপুরে রাজশাহী থেকে ট্রাকে পোলট্রির খাবার নিয়ে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক দিয়ে বাগমারার দিকে যাচ্ছিলেন চালক জহুরুল ইসলাম। পথে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার নন্দনহাট এলাকায় ট্রাকটি থামিয়ে প্রথমে ভাঙচুর করেন একদল ব্যক্তি। ৬টি মোটরসাইকেলে ১২ জনের মতো লোক ছিলেন। একপর্যায়ে তাঁরা ট্রাকের সামনে ভেতরে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রাকটির সামনের অংশে আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং মোহনপুর থানায় ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও গণমাধ্যম মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল নাশকতা করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত দুটি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যক্তিগত গাড়ি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।