মন্ত্রীর স্বজন ও অনুগতদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের স্বজন ও অনুগতদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক প্রার্থী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সিরাজুল হক।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজ এবং তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ, প্রভাষক ও অন্য শিক্ষকেরা নুরুজ্জামান আহমেদের অনুগত। এ কলেজ দুটিতে মন্ত্রী তাঁর স্বজনদেরও চাকরি দিয়েছেন। কারণ, করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজটি মন্ত্রীর বাবার নামে রাখা হয়েছে আর তুষভান্ডার কলেজটি মন্ত্রীর নিজ ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দুটির শিক্ষকদের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. তৈয়ুবুর রহমান, নুরুজ্জামান আহমেদের শ্যালক ও প্রভাষক মো. এরশাদুল হক, প্রভাষক মো. মাহবুবুর রহমান, মো. গোলাম ফারুক, মো. তোফাজ্জল হোসেন, লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন, মাহাবুবুল আলম, প্রভাষক ত্রিলোচন চন্দ্র সরকার, খাদিমুল বাশার, মো. ঈমান আলী, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও প্রভাষক লিপিকা চৌধুরী এবং আসাদুজ্জামান ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার রায় ও তপন কুমার রায়, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. আবদুল লতিফ, প্রভাষক মো. নুর ইসলামও বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক বলেন, খোঁজখবর নিয়ে যাঁদের ভূমিকা বিতর্কিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে এবং যাঁরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অনুগত, পছন্দের ও বিশ্বস্ত, তাঁদের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া না হলে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল নিয়ে কারচুপির আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামানের সমর্থক ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল হকের অভিযোগ সঠিক নয়। যাঁদের আত্মীয়-স্বজন বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন শ্যালক, একজন ফুপাতো ভাইয়ের স্ত্রী। তাঁরা কেউ নিকট আত্মীয় নন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লিপিকা চৌধুরীকে প্রিসাইডিং অফিসারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, কালীগঞ্জের ইউএনওকে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।