সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টাকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আন্দোলনকারী পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জাজিরার নাওডোবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ২৫ মিনিট পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, দেশব্যাপী ছাত্রলীগের হামলা ও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা প্রতিবাদে তাঁরা পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন। আজ বেলা ১১টা থেকে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাজিরার নাওডোবা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। এতে আন্দোলনকারী পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়েছিলেন। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। তখন তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় থানার ভেতরও ইট ছোড়া হয়েছে। তখন কিছু সময়ের জন্য পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোটাবিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে মাঠে নেমেছি। ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশও আমাদের মারছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সহপাঠী ভাইয়ের হত্যার বিচার চাইতে পারব না?’
জাজিরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় মাদবর প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কাউকে করতে দেওয়া হবে না। তাঁদের প্রতিহত করার জন্য তাঁরা রাজপথে আছেন।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জাজিরা সার্কেল) আহসান হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, জাজিরার নাওডোবায় ছাত্র আন্দোলের কিছু লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠতে দেওয়া হয়নি। পাঁচটি পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ অঞ্চলের সব সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।