মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গোলজার হোসেন বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল হকসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সকালে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান প্রথম আলোকে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদকর্মীর ওপর হামলা ন্যক্কারজনক। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুলকে প্রধান করে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
মামলার দাবি সাংবাদিক গোলজার হোসেন দৈনিক মানবজমিনের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি এবং মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহসভাপতি। গত বুধবার প্রথম ধাপে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনে তাঁর ওপর হামলা হয়।
মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তাঁর ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হক। ভোটের দিন (বুধবার) সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নটির ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন একদল লোক। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য সোহেল রানা সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হকের নির্দেশে সোহেলকে মারধর শুরু করেন তাঁর ভাতিজা তানভীর এবং তাঁদের লোকজন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ওই ঘটনার সময় পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন বাদী (গোলজার হোসেন)। পরে তাঁরা গোলজারের ওপর হামলা করেন। তাঁর মুঠোফোন, পকেটে থাকা টাকা, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করতে থাকেন। অন্য সাংবাদিকেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে তাঁদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন মনিরুল হক ও তাঁর লোকজন। পরে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে মনিরুল হক ও তাঁর লোকজন সাংবাদিকদের হাত কেটে ফেলার হুমকি দেন।