বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় বরগুনার থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। আজ দুপুরে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে
বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় বরগুনার থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। আজ দুপুরে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে

বরগুনা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাকেরগঞ্জ হয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন দূরপাল্লার পরিবহনের কাউন্টারের কর্মীরা। আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

কাউন্টারের কর্মীরা জানান, দুই মাস ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রীবাহী বাসগুলো যাওয়ার সময় বাধা দিচ্ছেন বরিশালের রূপাতলী বাস মালিক সমিতির লোকজন। এ কারণে বাসগুলো পটুয়াখালীর সুবিদখালী ও আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনায় চলাচল করছে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। বাড়ছে যাত্রী, চালক ও সহযোগীদের দুর্ভোগ। এর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

আজ সকালে বরগুনা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লার যাত্রীরা টার্মিনালে আসার পর বাস চলাচল বন্ধের কথা জেনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। বাসগুলো সেখানে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

ঢাকা যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসেছিলেন রাসেল মিয়া নামের এক যাত্রী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা যাওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে বাস কাউন্টারে এসে শুনি বাস চলাচল বন্ধ। এখন লঞ্চে ঢাকা যাব। এ দুর্ভোগের শেষ কোথায়?’

ঢাকাগামী যাত্রী শিউলি আক্তার বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে কিছুই জানি না। স্ট্যান্ডে এসে জানতে পারি বাস বন্ধ। এখন আমাকে লোকাল বাসে বরিশাল যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে ঢাকার পরিবহনে উঠতে হবে। এভাবে যাওয়া অনেক কষ্টকর এবং বাড়তি খরচও হবে।’

বরগুনা দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মল্লিক কাউন্টারের ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বরিশালের রূপাতলী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির লোকজন বাকেরগঞ্জ ও বরগুনার সড়কে গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। গাড়ির চালক ও সহকারীদের মারধর করা হয়। রূপাতলী বাসমালিক–শ্রমিকদের নির্যাতন ও গাড়ি চলাচলে বাধার কারণে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট।

অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল রুপাতলী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নামে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। তাদের এই সড়কে চলাচলের অনুমতি নেই। যে সড়কে অনুমতি আছে তাঁরা সেই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাবেন।’ সড়কের চলাচলের অনুমতির বিষয়টি প্রশাসনের এখতিয়ারে জানালে তিনি বলেন, ‘এটা মালিক সমিতিও দেখতে পারে। তাই আমরা এটা দেখছি। নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হবে।’

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে।