১৫ বছর ধরে তিন মেয়াদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদে আছেন মো. মিনফুজুর রহমান ওরফে মিলন। এর মধ্যে গত ১০ বছরে তাঁর নগদ অর্থের পরিমাণ ১৮ গুণ বেড়েছে। একই সময়ে তাঁর ব্যাংকঋণের পরিমাণও বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনে তাঁর দেওয়া ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মিনফুজুর রহমান কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন। এবারও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন তিনি। ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক পাস মিনফুজুর নিজেকে ধান, চাল ও মাছচাষি হিসেবে হলফনামায় পরিচয় দিয়েছেন। যদিও কৃষি থেকে তাঁর বার্ষিক আয় মাত্র ২০ হাজার টাকা।
মিনফুজুর রহমানের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে তিনি নগদ ২ লাখ টাকার মালিক ছিলেন। ওই সময় তাঁর ব্যাংকে জমা ছিল ৫০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে এসে তিনি নগদ ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৩০০ টাকার মালিক। সোনালী ব্যাংক পুনট শাখায় বর্তমানে তাঁর জমার পরিমাণ এক লাখ টাকা। অর্থাৎ গত এক দশকে তাঁর নগদ টাকা বেড়েছে ১৮ গুণ।
এই পুরো সময়ে মিনফুজুরের স্থাবর সম্পদ বাড়েনি বা কমেনি। এক দশক আগে তিনি দশমিক ৬৩ একর কৃষিজমির মালিক ছিলেন; এখনো তা-ই আছেন। মায়ের নামে এবং ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া কিছু জমির কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ১০ বছর আগের মতোই আমমোক্তারনামা দলিলমূলে ৩০ দশমিক ৯৯ শতক জমির মালিকানা আছে তাঁর।
গত ১০ বছরে ঋণ বেড়েছে মিনফুজুর রহমানের। ২০১৪ সালে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে তাঁর ৫ লাখ টাকা ঋণ থাকলেও এখন আছে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে তিনি সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
মিনফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ২০০৯ সাল থেকে টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছি। হলফনামার সম্পদ ও দায়দেনার বিবরণ দিয়েছি।’
কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মিনফুজুর ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন তালুকদার এবং সাবিনা ইয়াসমীন। সাবিনার দলীয় পদ-পদবি সম্পর্কে জানা যায়নি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদারের স্ত্রী।