বগুড়ায় পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। বগুড়া শহর শাখা জামায়াতের ব্যানারে আজ রোববার সকাল নয়টায় বড়গোলা থেকে এ ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে দত্তবাড়ি মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান চৌধুরী, কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ মিছিল হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির আবিদুর রহমান ওরফে সোহেল। এ সময় বগুড়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মানসুরুর রহমান, শহর শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আবদুল মালেক ও জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা দ্রুত সরকারের পদত্যাগ দাবি করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান। পাশাপাশি সংগঠনটির ১০ দফা দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার বগুড়া আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি ও জামায়াত নেতা রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আবেদন করেন। সেখানে রোববার বাদ জোহর বগুড়া বায়তুর নুর সেন্ট্রাল জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিলের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপরই আজ সকালে ঝটিকা মিছিল বের করে তারা।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা মিছিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দলটি শহরের একটি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে বলে শুনেছেন। শহরে কেউ যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
২০১৩ সালে ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে বগুড়ায় তাণ্ডব চালানো হয়। এরপর এত দিন প্রকাশ্য রাজনীতিতে ছিল না জামায়াতে ইসলামী। ওই সময়ের পর থেকে দলটির জেলা কার্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। ২০১৩ সালের পর সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি দলটি। দীর্ঘ এক দশক পর ধর্মীয় ইস্যুতে ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ব্যানারে চলতি মাসে বিক্ষোভের মাধ্যমে মহড়া দেন জামাতের নেতা-কর্মীরা। এরপর আজ সংগঠনের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল হলো।